সোনারগাঁ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে সৌদী প্রবাসীর স্ত্রী পরোকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সৌদী প্রবাসীর পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট উপজেলার বাঘুরী গ্রামের কারী আবদুল জাব্বারের সৌদী প্রবাসী ছেলে আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে উপজেলার মহজমপুর নিবাসী হাজী মোজাম্মেলের মেয়ে মারিয়া আক্তারের ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর মারিয়া আক্তারকে তার শ্বশুরালয়ে নিয়ে আসা হয়। এদিকে বিয়ের পর থেকেই মারিয়া আক্তার তার প্রবাসী স্বামী আবু বকর সিদ্দিককে অবজ্ঞা করে আসছিল। এক পর্যায়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারিয়া আক্তারের পরোকিয়ার বিষয় জানতে পারেন। এ সময় স্বামী আবু বকর সিদ্দিক স্ত্রীর পরোকিয়ায় বাধা দিলে সে তার সঙ্গে ঘর সংসার করবে না এবং যে কোন সময় পরোকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাবে বলে তাকে হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ অক্টোবর রবিবার রাত ১২টার দিকে মারিয়া আক্তার স্বামীর গৃহ থেকে নগদ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার ও কাপড় চোপর নিয়ে পরোকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
প্রবাসী আবু বকর সিদ্দিকের পিতা কারী আবদুল জাব্বার জানান, তার পুত্রবধূকে এলাকার লোকজন রাত ১২টার দিকে একটি ছেলের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছে। পরে পুত্রবধূর বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে তারা উল্টো আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরও জানান, তার পুত্রবধূ মারিয়া আক্তার একজন মাদরাসা পড়ুয়া দাওরায়ে হাদিস পাশ করা আলেমা। তাই অনেক দ্বীনদার হবে এই আশা নিয়ে তাকে পুত্রবধূ করে বাড়িতে এনেছিলাম। তাদের স্থায়ী বাড়ি উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের দাড়িকান্দি গ্রামে। পরে জানতে পারি, মারিয়া আক্তারের পিতা হাজী মোজাম্মেল একজন প্রতারক। তিনি বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পলাতক আছেন। নিজ এলাকায় যেতে না পেরে তিনি উপজেলার মহজমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার বড় মেয়ে আলেমা মুসলিহা ওরফে মুন্নিকে তিনি মিলন মিয়া নামের এক ছেলের সঙ্গে বিবাহ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মেয়েও নানা কারণে স্বামীর কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্ত হয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত আহসান উল্লাহ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।