লাইভ সোনারগাঁও ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কাজরদি (কুন্দেরপাড়া) এলাকার মৃত শামসুল হক মাস্টারের বাড়িতে এবং একই গ্রামের ইসলাম মুন্সীর বাড়ির দুই পরিবারের সদস্যদেরকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা ধারালো চাপাতি দিয়ে ইসলাম মুন্সীর হাতে, পায়ে ও মাথায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করেছেন ।
ডাকাতের কবলে পড়া পরিবার গুলোর সদস্যরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ১৫-১৭জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল প্রথমে মৃত শামসুল হক মাস্টারের বাড়ির দালানের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে দ্বিতীয় তলায় ঢুকে। এ সময় বসবাসরত মৃত শামসুল হক মাস্টারের ছেলে মফিজুলের স্ত্রী সোনিয়াসহ (৩০) অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে রাখে। পরে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুণ্ঠন করে এবং প্রতিটি কক্ষের আসবাবপত্র খুলে সেখানে থাকা ব্যবহৃত মালামাল তছনছ করে মেঝেতে ফেলে রেখে চলে যায়।
এরপর আনুমানিক রাত দেড় টার দিকে পাশের বাড়িতে ইসলাম মুন্সী ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতেরে ঢুকার চেষ্টা করে ডাকাতদল। এ সময় ঘরের দরজা ভাঙ্গার আওয়াজ শুনে বাড়ি মালিক ইসলাম মুন্সী ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে এলাপাতারীভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং তার স্ত্রী আছিয়াকে জিম্মি করে তার শরীরে ব্যবহৃত ২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পরে ডাকাতদল ঘরে থাকা আসবাবপত্র খোলার জন্য বিভিন্ন কক্ষে ঢুকলে বাড়িতে অবস্থান করা ইসলাম মুন্সীর ছেলে একরামুল হক কৌশলে ডাকাত ডাকাত বলে ডাকচিৎকার শুরু করলে, তখন ডাকাতদল ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী মারাত্মক আহত ইসলাম মুন্সীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় আবুল বাশার মেডিকেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান স্বজনরা।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম কামরুজ্জামান বলেন, আমি ডাকাতির ঘটনাটি শুনেছি। তবে সোনারগাঁও তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মো. মজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি এবং ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।